
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশায় ১৯৯৯ সালে (সখীপুর-বাসাইল) উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জন্ম হয়। শুরু থেকেই একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী দল হিসেবে দাবি করে তিনি বলেন, সবসময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। যার প্রমাণ দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। গত জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায়ী সরকারের পতনের পর জনগণের প্রত্যাশা ছিল একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এখনো সে ধরনের নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারেনি। পূর্ববর্তী সরকারের সময়কার অনিয়ম ও সংকটের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে মানুষের জান-মাল ও সম্পদের নিরাপত্তা নেই, আইনের শাসন চরমভাবে অবনতির দিকে। উন্নয়ন কার্যক্রম কার্যত স্থবির। নির্বাচনকে সামনে রেখে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও অনুমোদনের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলা হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন বাস্তবতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা কঠিন। সাধারণ মানুষের মধ্যেও নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনো উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে না।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিশেষ বর্ধিত সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে বা বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সাবেক মেয়র ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন সজীব বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ অংশগ্রহণ করছে না।